skip to Main Content

সদস্য সচিবের বাণী

সময়ের পরিক্রমায় জীবনের তাগিদে প্রবাসের মাটিতে আমাদের বর্তমান। ভুলিনি বাংলার শ্যামল মাটির গ্রান ভুলিনি আমাদের অতীত এবং অস্তিত্ব! বাংলাদেশ আমাদের অস্তিত্বের শেকড়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা আমাদের মাতৃভূমির গৌরবময় অধ্যায়, বাংলা ভাষা থেকে শুরু করে বাংলা সাহিত্য, এবং সংস্কৃতি আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্য, আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার, আমাদের পরিচয়ের মূল সূত্র, গাঁথা রয়েছে আমাদের দেশ এবং দেশের মা-মাটি মানুষের সাথে।

প্রবাসে বেড়ে উঠা তরুণ প্রজন্মকে তাদের শেকড়ের সাথে জড়িত রাখার প্রয়োজনিয়তা অনুভব করে কিছু তরুণ, “এসো বাংলা শিখি” স্লোগান দিয়ে ১৯৮৭ সালে শুরু করেছিলেন এই “বিসিসিডিআই বাংলা স্কুলের” যাত্রা। বাংলাভাষীদের জন্য এই স্কুলটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম এবং সুসংগঠিত স্কুল!

৩৭ বৎসর ধরে এই প্রবাসে সেবা করে আসছে বাংলা স্কুল, আজ নিজ ভবনে আমাদের নুতন প্রজন্মকে আমাদের মায়ের ভাষা/প্রাণের ভাষা “বাংলা” চর্চার পাশাপাশি নাচ, গান, অঙ্কন, কম্পিউটার, এবং ধর্মীয় শিক্ষা দিচ্ছেন বাংলা স্কুলের কিছু নিবেদিত প্রাণ (শিক্ষক/শিক্ষিকা). আগামী প্রজন্মের শিশু কিশোরদের এই প্রতিষ্ঠান “বিসিসিডিআই বাংলা স্কুল” এর সঙ্গে নিজেকে জড়িত রাখতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত এবং সার্থক মনে করি এবং ভবিষতেও থাকার চেষ্টা করবো।

উপহার বাংলাদেশ মেলার ৩১ তম উৎসবে সক্রিয় বিসিসিডিআই বাংলা স্কুলের প্রাণ প্রিয় ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক/শিক্ষিকা, অভিভাবক, সম্মানিতদের প্রাচীর, আজীবন সদস্য, সদস্যবৃন্দ, পৃষ্ঠপোষক, শুভানুধ্যাই, বাংলা স্কুলের সাথে জড়িত সকল বাঙালি সম্প্রদায়, এবং বিসিসিডিআই এর প্রাক্তন বোর্ডের সদস্যবৃন্দ সবার প্রতি বিসিসিডিআই এর পৰিচালনা পর্ষদ ২০২২-২০২৩ এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।

উপহার বাংলাদেশ মেলা”, বাৎসরিক এই আয়োজন আমাদের ছোট্ট সোনামনিদের বার্ষিক প্রোগ্রাম, স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের স্বীকৃতি, পুরস্কার এবং তাদের প্রতিভা প্রদর্শনের পরিবেশনা, আমরা যেমন অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকি, আমাদের বিস্বাস আপনারাও উৎসাহের সাথে অপেক্ষায় থাকেন তাদের পরিবেশনা দেখার জন্য। তাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রম সার্থক করে তুলতে আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের উৎসাহের হাত বাড়িয়ে দি. আমাদের ছোট্ট ছোট্ট সোনামনিরা তোমাদের সবাইকে আমাদের আন্তরিক ভালোবাসা এবং অভিনন্দন।

বিসিসিডিআই বাংলা স্কুলের কর্মকান্ডে আপনার/আপনাদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করুন, যাতে আপনিও আমাদের মতো গর্বিত হতে পারেন এবং আমাদের ছোট্ট ছোট্ট সোনামনিদের ভালোবাসার ছোঁয়া অনুভব করতে পারেন।

পরিশেষে আমাদের সন্তানতুল্লো ছাত্র/ছাত্রীদের প্রতি আমাদের অফুরুন্ত ভালোবাসা রইলো। তোমরাই আমাদের ববিষৎ তোমাদেরকে নিয়েই গড়তে চাই আগামীর প্রজন্ম, আমাদের নুতুন পৃথিবী, তোমাদের ববিষৎ প্রজন্মকে তোমরাই গর্বিত করবে, তোমাদের মাজে ফুটে উঠবে বিদেশের মাটিতে আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ।

ধন্যবাদান্তে!

রেদোয়ান চৌধুরী, সদস্য সচিব

২০২২-২০২৩ পৰিচালনা পর্ষদ, বিসিসিডিআই

This Post Has 0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top